Site icon উত্তরবঙ্গ Journal

১০০কোটি প্রতারণা, ইন্টারন্যাশনাল বেটিং সিস্টেম মামলায় মিলছে যোগ!অভিযুক্তের হয়ে আদালতে বিচারপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা বিরোধী পক্ষের আইনজীবীদের

কয়েকশো কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলায় দার্জিলিং পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই। দেশ জুড়ে অভিযুক্তদের ১০০কোটি টাকার কাছাকাছি ইন্টারন্যাশনাল বেটিং সিস্টেম মামলায় মিলছে যোগ! দেশজুড়ে মোটা টাকার আর্থিক বিচরাধীন অভিযুক্তের জামিন না মঞ্জুর, আদালতের বিচারপতির উপর অনাস্থা দেখিয়ে পিটিশন বিরোধী পক্ষের আইনজীবীদের

শিলিগুড়ি। কয়েকশো কোটি টাকার বড় আর্থিক প্রতারণার মামলায় দার্জিলিং পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই। দেশ জুড়ে অভিযুক্তদের ১০০কোটি টাকার কাছাকাছি ইন্টারন্যাশনাল বেটিং সিস্টেম মামলায় মিলছে যোগ! দেশজুড়ে মোটা টাকার আর্থিক বিচরাধীন অভিযুক্তের জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় আদালতের বিচারপতির উপর অনাস্থা দেখিয়ে পিটিশন বিরোধী পক্ষের আইনজীবীদের।আইনজীবিদের আচরণে শুনানি মুলতুবি করে পাল্টা অন্য কোর্টে মামলা স্থানান্তর বিচারপতির। পুলিশ আধিকারিকের উপস্থিতি ঘিরে জল ঘোলা করে বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,

মোটা টাকার আর্থিক প্রতারণা তছরূপের মামলায় দার্জিলিং জেলা পুলিশের ফাঁসীদেওয়া থানায় গ্রেফতার দুই। ধৃতদের নাম মহম্মদ শহিদুল ও তপন গোপ।মোটা অংকের অর্থ তছরূপ ও আর্থিক প্রতারণার মামলায় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ দুই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়।এরপরই বুধবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয় অভিযুক্তদের। জানা গিয়েছে কমিশনের পরিবর্তে অসহায় মানুষের ব্যাংক একাউন্ট- ও ব্যক্তিগত এর তথ্য সংগ্রহ করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এই প্রতারণা চক্রের এজেন্ট হিসেবে বেআইনী আর্থিক লেনদেনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতো বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, বেকার যুবক অর্থশিক্ষিত প্রযুক্তিতে সরগড় নয় এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করা হতো। ৪-৫ হাজার টাকা মাসিক কমিশনের ভিত্তিতে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে চলত বেআইনি আর্থিক লেনদেন। নিরীহ এই ব্যক্তিদের পাশ বই ব্যাংকের যাবতীয় নথি নিজেদের হেফাজতে কুক্ষিগত করে রাখতো দুই অভিযুক্ত। গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি একটি আর্থিক প্রতারনার মামলার ভিত্তিতে ওই দুই অভিযুক্তের নাম উঠে আসা আসে।মঙ্গলবার আর্থিক প্রতারণার অপর একটি মামলায় দুই অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। এসেজিএম আদালতে অভিযুক্ত দুজনকে পেশ করতেই অসহযোগী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন দুই আইনজীবী। শিলিগুড়ি এসিজেএম আদালতে বিচারপতির ভূমিকায় প্রশ্ন তোলেন বিরোধী পক্ষের আইনজীবী অলকেশ চক্রবর্তী ও সৌভিক সেনগুপ্ত। অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবীদের দাবি- বিচারপতি নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কারন মামলার আগে দার্জিলিং জেলা পুলিশের এসডিপিও-র সঙ্গে বিচারপতি ম্যাডামকে আলাদা ভাবে চেম্বারে আলাপচারিতায় দেখা গিয়েছে। আইনজীবী সৌভিক সেনগুপ্ত জানান- আমরা এসিজিএম ম্যাডামকে বলি আপনি নিরপেক্ষতার বিশ্বাসযোগ্যতার জায়গাটা হারিয়ে ফেলেছেন। এমনকি বিরোধী পক্ষের আইনজীবী বিচারপতিকে জানান কোর্টরুমের ভেতরেই আপনি যখন মামলার বিচার করবেন তখন নিরপেক্ষভাবে বিচার করবেন সেটা কিভাবে মেনে নেবো। এরপরই বিচারপতি পরিষ্কার জানিয়েছে দেন আপনার যদি নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে রিকিউসড পিটিশন দিন। সেমত আমরা পিটিশন দিয়েছে। এদিকে মামলা এসিজেএম থেকে জেএম থার্ডকোর্টে স্থানান্তর করা হয়। দার্জিলিং জেলা পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি অভিষেক রায় জানান- তপন গুহ এবং মোহাম্মদ শহিদুল দুজনকে ফাঁসি দেওয়া থানায় গ্রেপ্তার করে বুধবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। আমরা পুলিশ হেফাজত চেয়েছিলাম অভিযুক্তদের আদালত সেমতো মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে ছয় দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে দুই অভিযুক্তের। এরা দেশজুড়ে বড় অংকের আর্থিক দুর্নীতি প্রতারণার মামলার সঙ্গে যুক্ত। ১০০ কোটির বেশি আর্থিক প্রতারণার, দুর্নীতি তছরূপ মামলায় যোগ রয়েছে অভিযুক্তেদের। মোট ছয়টি মামলা রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। তিনি জানান মানুষের কাছে ব্যাংক একাউন্টের যাবতীয় ব্যাংক একাউন্ট খুলে তার মধ্য দিয়ে বেআইনী আর্থিক লেনদেন করতো। পরিবর্তে গ্রাহকদের একাউন্টে ভাড়ায় নিয়ে কমিশন দিতো।

এই অ্যাকাউন্টগুলি কোন তথ্যই গ্রাহকেরা জানে না। ইন্টারন্যাশনাল বেটিং সিস্টেমের মধ্য দিয়ে বেআইনি আর্থিক অর্থ এই অ্যাকাউন্ট গুলির মধ্য দিয়ে লেনদেন চলতো। এর পেছনে বড় চক্র রয়েছে তদন্ত নেমে দেশ জুড়ে চক্রের মাথাদের সন্ধানী নামছে পুলিশ। অন্যদিকে এদিন আদালত কোর্ট রুমের ভেতর চলা বিষয় নিয়ে তিনি বলেন বিচারপতি স্থানীয় প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে এসডিপিও সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। সে ঘটনার অপব্যাখ্যা করে আইনজীবীরা মিথ্যে অভিযোগ সামনে আনছে। পাশাপাশি আদালতের আইনজীবীদের বড় অংশই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন একজন বিচারপতির সঙ্গে এ আচরণ ও তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অত্যন্ত লজ্জার। পুলিশ মহলে দুই আইনজীবিদের পেশাদারি নীতিহীনতা নিয়েও তীব্র গুঞ্জন রয়েছে।

Exit mobile version