▶️ অরিজিৎ সিং-এর কনসার্টের আগেই শ্রোতাদের তীব্র ক্ষোভের মুখে আয়োজক সংস্থা। নির্ধারিত সময়তে কনসার্টের টিকিট ছাড়তে পারলেন না উদ্যোক্তারা। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের আনুষ্ঠানিক অনুমতি না থাকায় নির্ধারিত দিনে টিকিট ছাড়তে পারেনি সংস্থা। অনিয়মের জেরে উদ্যোক্তাদের চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, অপেশাদারী বলে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ অরিজিৎ অনুরাগীদের।

শিলিগুড়ি। অরিজিৎ সিং-এর কনসার্টের আগেই শ্রোতাদের তীব্র ক্ষোভের মুখে আয়োজক সংস্থা। নির্ধারিত সময়তে কনসার্টের টিকিট ছাড়তে পারলেন না উদ্যোক্তারা। অনিয়মেরর জেরে উদ্যোক্তাদের চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, অপেশাদারী বলে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ অরিজিৎ অনুরাগীদের। ৩রা মার্চ দুপুর ২টো নাগাদ অনলাইনে টিকিট মিলবে শ্রোতাদের এমনটাই সংবাদমাধ্যমে ঘোষণা করা হয় আয়োজক সংস্থা ডিএস এন্টারটেইনমেন্টের তরফে। কিন্তু পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে কাঞ্চনঝঙ্গা স্টেডিয়ামকে অনুষ্ঠান স্থল (কনসার্ট ভেন্যু) হিসেবে ঘোষণা করায় নির্ধারিত সময়তে টিকিট ছাড়তে পারেননি উদ্যোক্তারা। শুরুর থেকেই কনসার্ট আয়োজক সংস্থার এ ধরনের চূড়ান্ত অনিয়মে সোশ্যাল মাধ্যমে সরব হয়েছেন
অরিজিৎ অনুরাগীরা। কনসার্টের ব্যবস্থাপনা থেকে শ্রোতা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনুরাগীরা। সুরের জাদুকর অরিজিৎ-এর নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছে সঙ্গীতশিল্পীর ভক্তরা। কোনোরকম অনুমোদন ছাড়াই শিলিগুড়ি কাঞ্চনঝঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে কনসার্টের অনুষ্ঠান স্থল হিসেবে সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়। আর এরপরই সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ সামনে উঠে আসে। জানা যায় সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করা হলেও শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং পুরোনিগম ও স্টেডিয়াম কমিটির তরফে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম কনসার্টের জন্য ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়নি আয়োজক সংস্থাকে। শুধু তাই নয় সংস্থার তরফে স্টেডিয়াম মাঠের দায়িত্বে থাকা পুরনিগমের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ বিভাগীয় দপ্তরে কোনো রকম লিখিত আকারে আবেদন পত্র জমা পড়েনি। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট ও স্থানীয় শিলিগুড়ি থানাকেও। তার ওপর শুক্রবার অনলাইনে কনসার্টের টিকিট ছাড়ার কথা সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হলেও ছাড়তে পারেননি আয়োজক সংস্থা।

অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যার পর স্টেডিয়াম কমিটির তড়িঘড়ি বৈঠকে ডেকে কাঞ্চনঝঙ্ঘা স্টেডিয়ামে কনসার্টের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। স্টেডিয়াম কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে মেয়র গৌতম দেব বিকেল নাগাদ অনুমতি পত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর আরও পর্যায়ক্রমে রয়েছে বেশ কয়েকটি ধাপ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্টেডিয়াম কমিটির অনুমোদন পত্র পৌঁছবে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ বিভাগীয় দপ্তরে। এরপর তা যাবে স্থানীয় থানা এবং পুলিশ কমিশনারেটে। পুলিশের তরফে অনুষ্ঠান স্থল পর্যবেক্ষণের পরই চূড়ান্ত অনুমতি মিলবে। এদিকে শুক্রবার টিকিটের নির্দিষ্ট অনলাইন সাইটে বুক মাই শোতে টিকিট ছাড়া হয়নি। যাতে সকাল থেকে টিকিটের জন্য অপেক্ষায় থাকা শ্রোতারা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার ওপর ক্ষোভ উগড়ে দেন। সামাজিক মাধ্যমে অরিজিৎ অনুরাগীরা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার ভুমিকাকে অপেশাদারি ও  চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেন। সংস্থার ভূমিকায় বিতর্কের ঝড় উঠে সামাজিক মাধ্যমে। অনুষ্ঠান স্থলের অনুমোদনের আগেই ভেন্যু ঘোষণা থেকে টিকিটের সময় নিয়ে শ্রোতাদের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছে আয়োজক সংস্থা অভিযোগ তোলেন সুরের জাদুকরের ভক্তরা। আদেও সংস্থার কনসার্টের ঘোষনা সঠিক কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন অনুরাগীদের একাংশ। যদিও কনসার্টের মেন্টর জয়ন্ত মৌলিক বলেন “প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে টিকিট ছাড়া সম্ভব হয়নি। এই বিষয়টি পুরোটাই টিকিট প্রদানকারী অনলাইন সংস্থা দেখছে।” তবে উদ্যোক্তাদের ফেসবুক পেজে ভক্তরা সোচ্চার হয়ে জানান একেবারে অপেশাদারী, দায়িত্বজ্ঞানহীন আয়োজক সংস্থা কিভাবে গোটা অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করবে? এমনকি আয়োজক সংস্থার পূর্বের এ ধরণের অনুষ্ঠানের কোনোরকম অভিজ্ঞতা নেই। অনভিজ্ঞ সংস্থার হাতে অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা করছেন শ্রোতারা।

শিলিগুড়ির কেন্দ্রস্থলে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান হলে চূড়ান্ত বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে শহরের হিল কার্ট রোড, সেবক রোড সহ মুখ্য সড়কগুলিতে, সে আশংকায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে শহরবাসী।

Content Protection by DMCA.com

You cannot copy content of this page